পটল চাষের সঠিক পদ্ধতি ও পরামর্শ

প্রিয় দর্শক পটল চাষের সঠিক পদ্ধতি ও পরামর্শ সম্পর্কে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পটল চাষের সঠিক পদ্ধতি ও পরামর্শ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। পটল চাষের সঠিক পদ্ধতি ও পরামর্শ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে মনোযোগ সহকারে সমস্ত আর্টিকেল পড়ার অনুরোধ রইল।

ছবি : পটল

প্রিয় দর্শক এখানে আমরা আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। তার মধ্যে পটল চাষের জন্য কেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, পটলের বীজ, পটল চাষের সময়, পটলের কীটনাশক, পটলের ফলন বৃদ্ধির উপায় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছি। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো পেতে নিচের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা: পটল বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম।বাংলাদেশের বৃহত্তর রংপুর,যশোর,কুষ্টিয়া,পাবনা, রাজশাহী জেলা গুলোতে পটলের চাষাবাদ বেশি লক্ষ্য করা যায়। অন্যান্য সবজির তুলনায় পটলের উৎপাদন বেশি এবং এর প্রাপ্তি কাল দীর্ঘ হওয়ায় পটল চাষে অধিক লাভবান হওয়া যায়। পটলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা,ভিটামিন এ ও সি রয়েছে।
পটল চাষের পদ্ধতি ও পরামর্শ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

পটল চাষের জন্য আবহাওয়া : 

পটল সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার ফসল। পটল চাষের জন্য অধিক তাপমাত্রা অর্থাৎ যেখানে প্রচুর পরিমাণ সূর্যের আলো রয়েছে এমন স্থান সবচেয়ে উপযোগী। অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধ স্থান পটল চাষের জন্য অনুপযোগী। বৃষ্টির পানি জমে না এমন উঁচু জায়গা নির্বাচন করতে হবে।

পটলের বীজ :

পটলের বিভিন্ন জাতের উপর নির্ভর করে প্রতি শতকে ৮ থেকে ১০ গ্রাম বীজ চারা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বীজ বপনের পূর্বে অবশ্যই একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে বীজটি চারা উৎপাদনে জন্য উপযোগী কিনা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই চারা উৎপাদনের জন্য উপযোগী বীজটি বাছাই করে তারপর বপন করতে হবে।

পটল চাষের সঠিক সময় : 

আমাদের দেশে অক্টোবর - নভেম্বর বা ফেব্রুয়ারি - মার্চ মাস পটলের চাষ করা হয়। তবে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে যখন বৃষ্টিপাতের পরিমান কমে যায় তখনই পটলের চারা লাগানো উপযুক্ত সময়। আবার যেসব অঞ্চল গুলোতে বর্ষা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় সেসব অঞ্চলে অক্টোবর মাসেও পটলের চারা রোপন করা যায়।

পটলের কীটনাশক : 

পটল চাষের জন্য মাদা প্রতি ১ কেজি জৈব/গোবর সার, ১৭০ গ্রাম টিএসসি, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম খৈল, ১৩০ গ্রাম এমওপি, ১৫০ জিপসাম, ২০ গ্রাম বোরন সার চারা রোপণের পূর্বে ব্যবহার করতে হয়। প্রথম অবস্থায় পটল সংগ্রহের পর পর হঠাৎই ফুল ধরা কমে গেলে সেক্ষেত্রে ৫০০ গ্রাম জৈব/ গোবর সার, ১০০ গ্রাম এমওপি, ৯০ গ্রাম টিএসপি, ৭০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করলে ফলনের পরিমাণ বেড়ে যায়।

পটলের ফলন বৃদ্ধির উপায় : 

প্রথম দিকে পটলের উৎপাদন বেশি হলেও পরবর্তীতে তা তুলনামূলক কমে যায়। এমতাবস্থায় কিছু সার প্রয়োগ করলে পটলের ফলন পুনরায় বৃদ্ধি পায়। আবার  কৃত্রিম পরাগায়নের মাধ্যমেও পটলের ফলন বৃদ্ধি করা যায়। পুরুষ গাছ থেকে পরাগরেণু বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ও বাতাসের মাধ্যমে স্ত্রী ফুলে এসে মিলিত হয়।

 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url